What is going on NITER ? Raise your voice against this bullshit decision
কি ভাবে একটা নোটিশের ভাষা হতে পারে আমার বুঝে আসলো না। এটা কি নোটিশ না হুমকি? একটা প্রতিষ্ঠান কি ছাত্রদের এভাবে হুমকি দিতে পারে?
'পিপিপির আলোকে বেসরকারি ব্যাবস্থাপনায় পরিচালিত' এই লাইন ব্যাবহারের মানে টা কি? বাংলাদেশের আইন কি সরকারী আলোয় যারা চলে তাদের জন্য এক রকম আর বেসরকারি আলোতে যারা চলে তাদের জন্য আরেকরকম?
পিপিপি আইন অনুসারে সরকারী বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বেসরকারি ব্যাবস্থাপনায় চলতে পারে না। এই লাইনটি আইন বিরুদ্ধ। পিপিপি আইন ২০১৫ এর ৬ ধারা অনুযায়ীঃ
"পিপিপি কর্তৃপক্ষের সার্বিক পরিচালনা ও প্রশাসন বোর্ড অব গভর্নরস এর উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং উহার সকল ক্ষমতা ও কার্যাবলী বোর্ড অব গভর্নরস প্রয়োগ ও সম্পাদন করিতে পারিবে।"
আর এই বোর্ড অব গভর্নরস এর ছয়টি পদের মাত্র একটি পদায়ন বেসরকারি। তাই বলা যায় পিপিপির আলোকে কেবল বেসরকারি ব্যাবস্থাপনায় কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আমরা আশংকা করছি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় নিটারকে পূর্ণাঙ্গ পাবলিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করেই এই বাক্যগুলো ব্যাবহার করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে জুজুটির ভয় বারবার দেখায় প্রশাসন তারা কেন ভুলে যায় দফায় দফায় টিউশন ফি বৃদ্ধি, রিটেক, পুনঃ পরীক্ষণের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ টাকা অন্যায়ভাবে ছাত্রদের থেকে আদায় করে যে প্রশাসন তাদের কোন অধিকার নেই এইসমস্ত জুজুর ভয় দেখানোর। বরং প্রশাসনকে উত্তর দিতে হবে একটি সরকারী অংশীদারিত্বে চলা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি কিভাবে অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে বেশি হতে পারে।
আর কি ধরণের প্রশাসন হলে আবার স্থানীয় এমপির রেফারেন্স টেনে কথা বলতে হয়। ব্যাপারটাকি এমন যে পরিস্থিতি প্রসাশনের কন্ট্রোলের বাইরে যে বাইরে থেকে লোক এনে কঠোর নির্দেশনা ভাড়া করে আনতে হবে? যদি তাই হয় তাহলে কি আমরা বুঝবো যে এই প্রশাসন ব্যার্থ? বিষয়টি হাস্যকর।
প্রশাসনের এটাও স্মরণে রাখা উচিত নিটার এখন ছোট নেই। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কয়েকটি ব্যাচ বের হয়েছে। টেক্সটাইল জগতে নিটারিয়ানরা প্রতিষ্ঠিত। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা রয়েছেন, পুলিশ বাহিনীতে নিটারের শিক্ষার্থীরা পদায়ন পেয়েছেন, বেশ কজন সাবেক শিক্ষার্থী পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছেন।
এতো বড় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আসা বার্তা প্রশাসনের ভেবে চিন্তেই দেয়া উচিত। আজকে প্রশাসন বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যায় আচরণ করলে সাবেক শিক্ষার্থীরা কিন্তু বসে থাকবে না।
আমরা চাই না কোন বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক। নিটার কর্তৃপক্ষকে এই মাস্তানি মার্কা নোটিশ সংশোধনের আহ্বান জানাই।
জনগণের প্রতিষ্ঠানে-
হোক জনগণের অধিষ্ঠান...
(বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গণহত্যা নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রে গবেষক হিসেবে কর্মরত আছেন।)
Comment