Scrape plan to create Alutila Special Tourism Zone, Khagrachari
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের একটি নথি¹ থেকে জানা যায়, আলুটিলা পাহাড়ে পর্যটন জোন গঠনের প্রস্তাব ৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ উক্ত উপজেলা থেকে প্রথম দেয়া হয়। মাটিরাঙ্গা ইউএনও-র (যিনি জামায়াতের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে প্রকাশ) উক্ত প্রস্তাব পাওয়ার পর ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে যুক্ত বাংলাদেশ অথনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ১৫ জুন ২০১৬ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি দেন²।
এতে বলা হয়, ‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাংগা ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন ২০৫ নং তৈকাতাং ও ২৬২ গোলাবাড়ী মৌজায় ৬৪০.০০ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব পাওয়া যায়। গত ০৭-০৪-২০১৬ তারিখে বেপজা’র প্রাথমিক স্থান নির্বাচন কমিটির সভায় আলুটিলা বিশেষ পর্যটন জোন, খাগড়াছড়ি নামে উক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। উক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের অন্তর্গত খাস জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের অনুকূলে প্রতীকী মূল্যে বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে জমির দাগসূচী, অবস্থান এবং মৌজা ম্যাপ আবশ্যক।’
এরপর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের অনুরোধে সদর ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভূমি অফিস প্রস্তাবিত জমি বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় জমির দাগসুচি, মৌজা ও অবস্থান ম্যাপ সংক্রান্ত তথ্য উপজেলার সহরকারী কমিশনার (ভূমি) হতে সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।³ এতে প্রস্তাবিত মোট জমির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৬৯৯.৯৮ একর। এর মধ্যে রয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন ২০৪ নং আলুটিলা মৌজার ৬৩৬ নং দাগের মোট ৩২৫.৩৮ একর থেকে ৪ একর, ২০৫ নং তৈকাতাং মৌজার ৩ নং দাগের (মোট জমির পরিমাণ উল্লেখ নেই) জমি থেকে ৬০০ একর এবং খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন ২৬২ নং গোলাবাড়ী মৌজার ৪৮৫৭, ৪৮৫৫ ও ০৬ নং দাগের মোট ২৫৮.৪০ একর থেকে ৯৫.৯৮ একর। গোলাবাড়ী মৌজার ৬ নং দাগের মংসাইগ্য চৌধুরীর ৮ একর ছাড়া বাকি সব জমি (৬৯১.৯৮ একর) সরকারী মালিকানাধীন বা খাস দেখানো হয়েছে।
Comment